তীর্থঙ্কর মুখার্জি : চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারে পর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটা দিন। তৎপরাতার সাথেই দেহ উদ্ধারের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই নির্জাতিতার দেহের আইন অনুযায়ী হয় ময়না তদন্ত। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজন সেভিক ভলেন্টিয়ার গ্রেপ্তার হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। এরই মাঝে প্রকাশ্যে এসেছে ময়নাতদন্তের পূর্নাঙ্গ রিপোর্ট।
RG Kar Postmortem Report
এই পোস্টমর্টম রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে ওই তরুনী পড়ুয়া চিকিৎসকের ? কী অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল তাঁর দেহ ? ময়নাতদনের রিপোর্ট থেকে জানা যায় ওই চিকিৎককে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল। মৃত চিকিৎসকের শরীরের একাধিক হাড় ভাঙার যে সব কথা উঠে আসছিল, ময়নাতদনের রিপোর্টে তেমন জাড় ভাঙার কোনও উল্লেখ নেই।
আরো পড়ুন : ফের প্রশ্নের মুখে ভারতীয় রেল ! একই লাইনে রাজধানী ও মালট্রেন, বিরাট ঝাঁকুনি তারপর…
তাঁর শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন ছিল। গলা, মাথা,ঠোঁট, নাক, চিনুক,ডান চোয়াল , বাঁ হাত , বাঁ কাঁধ, বাঁ হাটু, গোড়ালি এবং যৌনাঙ্গে ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। ময়নাতদনের রিপোর্ট অনুযায়ী তাঁর যৌনাঙ্গে জোরপূর্বক কিছু প্রবেশ করানো হয়েছিল। এছাড়াও চিকিৎসকের ফুসফুসে রক্ত জমাট বেঁধেছিল।
এবং তাঁর শরীরের বেশকিছু অংশেও রক্ত জমাট বেঁধেছিল বলে এই রিপোর্টে জানানো হয়েছে। অভিযোগ উঠেছিল নির্যাতিতার দেহে ১৫০ গ্রাম সিমেন মিলেছে। কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর পরিবার যে পিটিশন দায়ের করেছিল সেখানেও এই বিষয়টির উল্লেখ করা ছিল।
আরো পড়ুন : ফুটবল সমর্থকদের দাবি ছিল RG Kar-কান্ডের সুবিচার! মিছিলে মিশে ছিল দুষ্কৃতি, পর্দা ফাঁস করল পুলিশ
তবে ময়না তদন্তের রিপোর্টে ‘সিমেন’ সংক্রান্ত কনো উল্লেখ নেই। রিপোর্টে ‘এক্সটান্যাল এবং ও ইন্টারন্যাল জেনেটালিয়া’ কলমে লিখা হয়েছে, ওজন ১৫১ গ্রাম। প্রসঙ্গত ময়নাতদনের রিপোর্টে নিয়ম মেনে দেহের বিভিন্ন অংশের ওজন উল্লেখ করা হয়ে থাকে।