প্রশান্ত জানা : আরজি কর কান্ডের প্রতিবাদে যখন সরব গোটা রাজ্য ঠিক তারি মাঝে একবার নয় দু’দফায় এক গৃহবধূকে মারধরের পাশাপাশি নগ্ন করে রাস্তায় হাঁটানোর অভিযোগ উঠল বিজেপির ক্যাডারদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের নন্দীগ্রামের ১ নম্বর ব্লকের গোকুলনগর গ্রামে। নির্যাতিতার অভিযোগ বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা দিবসের সকালে বেধরক মারধরের পর তাঁকে টেনেহিঁচড়ে রাস্তায় আনা হয়।

মায়ের লাঞ্ছনার ভিডিও মোবাইলে বন্দি করে নেয় তাঁর ১৩ বছরের কিশোরী কন্যা। এরপর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানায় ওই নির্যাতিতা হৃহবধূ। এরপরেই চেন্নাইয়ে কর্মরত নির্যাতিতার স্বামীকে ফোন করে মামলা তুলে নিতে অনবরত চাপ দিয়ে বিজেপির ক্যাডারেরা জানায় অন্যথায় পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে। কিন্তু সেই চাপের কাছে মাথা নত করেনি ওই মহিলার স্বামী। এরপরেই শুরুহয়ে অত্যাচারের দ্বিতীয় অধ্যায়।
সেই আক্রোশে পরের দিন অর্থাৎ শুক্রবার বিজেপির ক্যাডারদের ফের নিশায় আসে ওই মহিলা। শুক্রবার রাতে প্রথমে বাড়ির বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে হামলা চালায়। ওই গৃহবধূকে বাঁশ লাঠি দিয়ে এলোপাথারি মারা হয়। নগ্ন অবস্থায় প্রায় ৩০০ মিটার হাঁটানো হয়। তার শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ করেন ওই মহিলা। মায়ের সাথে হেনস্থার শিকার হয় তাঁর কিশোরী কন্যাও।
আরো পড়ুন : নারী সুরক্ষায় আরো বড় পদক্ষেপ নবান্নের, ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্প ঘোষণা মমতা সরকারের
গুরুতর যখম ওই মহিলা ও তাঁর কণ্যা নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধিন। নির্যাতিতার মহিলার কিশোরী কণ্যার মোবাইলের ভিডিও দেখে বিজেপির স্থানীয় বুথ সভাপতি তাপস দাস নামে একজনকে শনিবার গ্রেপ্তার করে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। এই ঘটনায় মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের পর বাকিরা এখন পালতক। এই ঘটনা বিজেপির তরফে পারিবারিক ঘটনা বলে সাফাই দিলেও গোটা ঘটনায় তুমুল আলোড়ন ছড়িয়েছে রাজ্যজুড়ে।
পাশাপাশি এই ঘটনায় কনো প্রকার প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর। আজ রবিবার ওই নির্যাতিতা গৃহবধূর ও তাঁর কিশোরী কণ্যার সাথে দেখা করতে গোকুলনগর যাচ্ছে রাজ্যের শাসক দলের পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। তৃণমূল দলের তরফে এই দলে কুনাল ঘোষের নেতৃত্বে বীরবাহা হাঁসদা, মমতা বালা ঠাকুর, উত্তরা সিং এবং দোলা সেন।