তীর্থঙ্কর মুখার্জি : আরজি করে চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর এবার নারী সুরক্ষায় বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করল রাজ্য সরকার। মহিলা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য চালু করল ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্প। আজ শনিবার দুপুরে নবান্নে একটি উচ্চপর্যায়ের বোঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি, স্বাস্থ্যসচিব,কলকাতা পুলিশ কমিশনার এবং পুলিশ-প্রশাসনের অন্য শীর্ষ কর্তারা।

ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকের শেষে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, একাধিক দফতরের উদ্যোগে ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্পের মধ্যোদিয়ে মেডিকেল কলেজ গুলিতে চলবে পুলিশ পেট্রোলিং। নাইটশিফটে করেন তাঁদের জন্য এই বিশেষ কর্মসূচী। মহিলা চিকিৎসক ও নার্সদের ১২ ঘন্টার বেশি যেন ডিউটি শিডিউল না হয় তাও দেখা হবে।
এছাড়াও সেফ জোন তৈরি করে সিসিটিভি দিয়ে তা মুড়ে ফেলবে রাজ্য। যে কোনও এমার্জেন্সি বা প্যানিক সিচুয়েশন হলে হেল্পলাইন নম্বর ১০০ বা ১১২ ব্যবহার করতে হবে। মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও জেলা হাসপাতালগুলিতে সিকিউরিটি চেক,ব্রেথালাইজার টেস্ট করা হবে। সমস্ত হাসপাতালের প্রতিটি তলায় পানীয় জলের বন্দোবস্ত। মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে প্রত্যেকের গলায় পরিচয়পত্র ঝোলানো বাধ্যতামূলক।
রাতে মেয়েদের দল হিসেবে বা একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে জোর। কেউ মদ্যপান করে মত্ত রয়েছে কি না, তা যাচাই করতে সমস্ত সরকারি হাসপাতালে রাতে নি:শ্বাস পরীক্ষার বন্দোবস্ত। তবে মহিলা নিরাপত্তায় দেওয়া ১৭ দফা নির্দেশিকার একটি বলা হয়েছে, যেখানে এবং যত দূর সম্ভব মহিলাদের রাতের শিফট থেকে অব্যাহতি দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।