S-400 : ভারতের ১৫টি শহরে হামলার চেষ্টা, পাকিস্তান কিছুই করতে পারেনি, ভারতের ঢাল ‘সুদর্শন’
S-400
কেয়া সরকার : বুধবার রাতেই ভারতীয় বিমান বাহিনী তাদের এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করে পাকিস্তানের বিমান আক্রমণ ব্যর্থ করে দিয়েছে। অপারেশন সিন্দুরের প্রতিক্রিয়ায় এই আক্রমণ চালানো হয়েছিল।

আরো পড়ুন : Jammu and Kashmir : সীমান্তে পাক সেনার টানা গুলি বর্ষণ, নিহত ১ সেনা সহ ৪ শিশু মোট ১৩ জন নিহত, আহত ৫৭
ভারতীয় প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের মতে, পাকিস্তান ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে উত্তর ও পশ্চিম ভারতের অবন্তীপোরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, লুধিয়ানা এবং ভূজের মতো সামরিক ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করার চেষ্টা করেছিল।
আরো পড়ুন : 5 killed in helicopter crash : বড় দুর্ঘটনা, উত্তরকাশীতে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত,মৃত ৫ তীর্থযাত্রী, চলছে উদ্ধার অভিযান
ভারতীয় বিমান বাহিনী পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সন্ত্রাসীদের আস্তানা লক্ষ্য করে হ্যামার, স্ক্যাল্প এবং অন্যান্য অত্যাধুনিক নির্ভুল অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এই অভিযানে, এস-৪০০ ‘সুদর্শন চক্র’ সিস্টেম ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ঢাল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এই বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শত্রুর যেকোনো সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ প্রতিহত করার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত ছিল, যার ফলে ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলিকে তাদের মিশন নিরাপদে সম্পন্ন করতে সহায়তা করেছিল।
সাম্প্রতিক আক্রমণগুলিতে এস-৪০০ তার কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে। এই সিস্টেমটি সীমান্তে পাকিস্তানের পাঠানো ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে ধ্বংস করে ভারতীয় শহরগুলিকে যে কোনও বড় ক্ষতি থেকে রক্ষা করেছে। ভারত ও পাকিস্তানের দশকের পর দশক ধরে শত্রুতার ইতিহাস রয়েছে এবং উভয় দেশই বহুবার যুদ্ধ করেছে, এমন পরিস্থিতিতে এই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভারতের কৌশলগত শক্তির প্রতীক হয়ে উঠেছে।
এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কী ?
এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হল একটি অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক যা একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলকে আকাশ হুমকির বিরুদ্ধে রক্ষা করার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। এই সিস্টেমটি শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমান, ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, সেইসাথে ড্রোনের মতো বায়ুবাহিত আক্রমনকে সনাক্ত এবং লক্ষ্যবস্তু করতে পারে।

ভারতীয় বিমান বাহিনীর অন্যতম শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ক্ষমতা, এস-৪০০, শত্রুর যেকোনো বিমান কার্যকলাপ সময়মতো ধ্বংস করতে সক্ষম। এর পাল্লা ৪০ থেকে ৪০০ কিলোমিটার। ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে এই ব্যবস্থাটি কিনেছে এবং বিশেষ করে চীন ও পাকিস্তানের সম্ভাব্য হুমকির কথা মাথায় রেখে এটি কৌশলগতভাবে মোতায়েন করা হয়েছে।
ভারতের প্রতিক্রিয়া
৭ মে ২০২৫ তারিখে অপারেশন সিন্দুরের উপর আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে, ভারত তাদের প্রতিক্রিয়াকে কেন্দ্রীভূত, সংযত এবং অ-আক্রমণাত্মক বলে বর্ণনা করে। এই সময়, স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল যে পাকিস্তানি সামরিক স্থাপনাগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি। তবে, এটাও পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে যে ভারতে সামরিক স্থাপনাগুলিতে যেকোনো আক্রমণের যথাযথ জবাব দেওয়া হবে।
আরো পড়ুন : UPI Payment : UPI ব্যবহারকারীদের জন্য বড় খবর,এখন আরো সরলীকরণ,নয়া সার্কুলার,জেনি নিন কি করতে হবে
পাকিস্তানের ঘৃণ্য প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছে ভারত
পাকিস্তান গতোকাল ও আজ রাতে, ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কাপুরথলা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, বাথিন্ডা, চণ্ডীগড়, নল, ফালোদি, উত্তরলাই এবং ভূজের মতো সামরিক স্থান গুলিতে টার্গেট করে হামলা চালায়।
ভারতীয় বিমান বাহিনীর সমন্বিত কাউন্টার UAS গ্রিড এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে এই আক্রমণগুলি প্রতিহত করা হয়েছিল। অনেক জায়গা থেকে হামলার ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হচ্ছে, যা পাকিস্তানি হামলার প্রমাণ।
লাহোরে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস
আজ সকালে, (৮.৫.২৫) ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের একাধিক স্থানে বিমান প্রতিরক্ষা রাডার এবং সিস্টেমগুলিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
আরো পড়ুন : Itahar : নদীর ধারে তৃণমূল কর্মীর ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে
সূত্রমতে জানা গিয়েছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট, শিয়ালকোট, লাহোর এবং অন্য একটি শহরে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
ভারতীয় বিমান বাহিনী “সুদর্শন চক্র” নামক এস-৪০০ সিস্টেমের মাধ্যমে সমস্ত প্রজেক্টাইল সফলভাবে আটকে এবং নিষ্ক্রিয় করে। আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক ভগবান শ্রীকৃষ্ণের “সুদর্শন চক্র” সম্পর্কে যাকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অস্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

আরো পড়ুন : RBI : নোংরা, ছেঁড়া বা ক্ষতিগ্রস্ত নোট নিয়ে সমস্যায়?সেই মুদ্রা নোট বিনিময়ে এবার নির্দেশিকা জারি RBI-এর