Jagannath Temple in WB : দীঘার জগন্নাথের মন্দিরের দ্বারোদঘাটন করলেন মুখ্যমন্ত্রী, ছবি ও প্রসাদ পৌঁছবে সকলের বাড়ি
Jagannath Temple in WB
প্রশান্ত জানা : দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বুধবার অক্ষয় তৃতীয়ার শুভ তিথিতে ৩টে বেজে ১৪ মিমিটে মন্দিরের দ্বারোদঘাটন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মুহুর্তে মন্দিরের বাইরে প্রচুর ভক্তের ভিড়। মুখ্যমন্ত্রী মন্দিরের দরজা ঠেলে মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করতেই সামনেই উপবিষ্ট জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা। বিগ্রহের সামনে আরতি সারেন মমতা।

আরো পড়ুন : RBI : নোংরা, ছেঁড়া বা ক্ষতিগ্রস্ত নোট নিয়ে সমস্যায়?সেই মুদ্রা নোট বিনিময়ে এবার নির্দেশিকা জারি RBI-এর
মন্দিরে সোনার ঝাঁটা দান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
রথ যাত্রার সময় সোনার ঝাঁটা দিয়ে জগন্নাথদেবের যে পথ ঝাঁটা দেওয়ার দেওয়া হয়। সেই রিতি পালনের জন্য জগন্নাথ মন্দিরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোনার ঝাঁটা দান করেছেন। সম্পূর্ণ রুপে আগাগোড়া সোনার ওই ঝাঁটাটি তৈরির জন্য নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৫,০০,০০১ টাক আগেই দান করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের আগে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী
মন্দির উদ্বোধনের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য যারা এখানে এসেছেন তাদের সকলকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। সকল ধর্মের মানুষ এখানে এসেছেন। তিন বছরে কাঠামোটি তৈরি করা শ্রমিক ও প্রকৌশলীদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি, এই জগন্নাথ মন্দির আগামী হাজার হাজার বছর ধরে তীর্থস্থান এবং পর্যটনস্থল হিসেবে উন্মাদনার প্লাবন তৈরি করবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় সবারে করি আহ্ববান।
এরপরেই তিনি, জয় জগন্নাথ বলেন-জয় বাংলা ধ্বনি দিয়ে বলেন, এই জগন্নাথ দেবের মন্দির মা-মাটি-মানুষকে উৎসর্গ করলাম।
বাংলার বাড়ি বাড়ি জগন্নাথদেবের ছবি ও প্রসাদ পৌঁছবে বললেন মমতা
তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক বিভাগকে আমি দায়িত্ব দিচ্ছি যাতে বাংলার সকলের বাড়ি ও ভারতের বিখ্যাত মানুষের বাড়িতে একটু করে প্রসাদ ও জঘন্নাথ দেবের ছবি পৌঁছে দেওয়া।
পবিত্রতা অর্জনের অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত জাঁকজমকের সাথে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, বিভিন্ন তীর্থস্থান থেকে পবিত্র জল মন্দিরে আনা হয়েছিল আচার অনুষ্ঠানের জন্য। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গীত ও চলচ্চিত্র জগতের বেশ কয়েকজন সেলিব্রিটি এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক নেতারা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

কতটাকা ব্যায়ে নির্মিত হয়েছে দীঘার সুমুদ্র সৈকতে এই জগন্নাথদেবের মন্দির
ঐতিহ্যবাহী কলিঙ্গ স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত, রাজ্য সরকার কর্তৃক ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল কাঠামোটি এই অঞ্চলে তীর্থযাত্রা এবং পর্যটনের একটি প্রধান কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২০ একর জমি জুড়ে বিস্তৃত, মন্দিরটি রাজস্থান থেকে আনা সূক্ষ্ম গোলাপী বেলেপাথর দিয়ে তৈরি, এবং রাজ্যের ৮০০ জনেরও বেশি দক্ষ কারিগর এই স্থাপত্য বিস্ময়কে জীবন্ত করে তুলতে তাদের কারুশিল্পে অবদান রেখেছেন।
আরো পড়ুন : Mamata : মন্দিরে অভিষেক অনুষ্ঠানের আগে মমতার জগন্নাথ পরিদর্শন, বললেন, আরও উচ্চ শিখরে যাবে দীঘা
পুরীর মূল জগন্নাথ মন্দিরের নকশার প্রতিফলিত দীঘার জগন্নাথদেবের মন্দির
পুরীর মূল জগন্নাথ মন্দিরের নকশার প্রতিফলন ঘটিয়ে, দিঘা ধাম সিংহদ্বার, ব্যাঘ্রদ্বার, হস্তিদ্বার এবং অশ্বদ্বারের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্য উপাদানগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে। মন্দির কমপ্লেক্সে দেবী লক্ষ্মীর জন্য একটি নিবেদিতপ্রাণ মন্দির এবং ভগবান জগন্নাথের উদ্দেশ্যে পবিত্র নৈবেদ্য প্রস্তুত করার জন্য একটি পৃথক ভোগশালাও রয়েছে।
আরো পড়ুন : Jalpaiguiri : পাক-অধিকৃত কাশ্মীর অবিলম্বে পুনরুদ্ধারের দাবি সৈকতের, কুশপুত্তলিকা দাহ পাক প্রধানমন্ত্রীর
মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানের আগে বলেছিলেন, দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন বাংলার স্থায়ী ভক্তি এবং সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক গৌরবময় প্রমাণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। প্রতিটি জটিল খোদাই করা পাথর এবং এর গর্ভগৃহ থেকে উঠে আসা প্রতিটি প্রার্থনা আমাদের জনগণের গভীর বিশ্বাস, ঐক্য এবং স্থায়ী চেতনার প্রতীক হবে”।
এছাড়াও মঙ্গলবার, জগন্নাথ মন্দিরের সামনে স্থাপিত একটি অস্থায়ী কুঁড়েঘরের ভেতরে পূজা ও মহাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ৫৭ জন ভক্ত এবং ইসকনের ১৭ জন সন্ন্যাসী এতে অংশগ্রহণ করেন।
একজন কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের পর সমুদ্রতীরবর্তী পর্যটন শহর দীঘায় বার্ষিক ‘রথযাত্রা’ আয়োজনের পরিকল্পনা করছে।

আরো পড়ুন : Jharkhand : সন্ত্রাসী হামলায় দেশজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা,এবার ঝারখান্ডে সন্ত্রাসী সংগঠনে যোগাযোগে আটক ৪