2 Killed :রাজতন্ত্রপন্থীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ, সাংবাদিক সহ নিহত ২, আহত অনেক, সেনা মোতায়েন
2 Killed
মুনাই ঘোষ : অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নেপালে। শুক্রবার সেই দেশে রাজতন্ত্রপন্থী কর্মীরা কাঠমান্ডুতে রাজতন্ত্র এবং হিন্দু রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের দাবিতে নিরাপত্তা বাহিনী এবং রাজতন্ত্রপন্থী কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

আরো পড়ুন : Mamata : অক্সফোর্ডে পরিকল্পনা মাফিক আক্রমন বহিরাগতদের, মমতার অস্ত্র ছিল রবীন্দ্রনাথ,রইল বিস্তারিত
এই সংঘর্ষে ফলে ২ জন নিহত এবং ১২ জন পুলিশ সদস্য সহ বেশ কয়েকজন আহত হন, যার ফলে কাঠমন্ডু শহরটি রণক্ষেত্রের রুপ নিয়েছে।
There is a fire in Nepal. On Friday, pro-monarchy activists in that country clashed with security forces and pro-monarchy activists in Kathmandu, demanding the restoration of the monarchy and the status of a Hindu state
আরো পড়ুন : Earthquake-7.2 Live : মায়ানমারে ৭.২ মাত্রার তীব্র ভূমিকম্প,বঙ্গ সহ দেশজুড়ে কম্পন অনুভূত
Curfew has been imposed in Tinkune, Sinamangal and Koteshwar areas to bring the situation under control. Several houses, other buildings and vehicles were set on fire as police fired several rounds of tear gas and rubber bullets
আরো পড়ুন : Maha Kumbh : যোগী সরকারের শুধুই প্রতিশ্রুতি ? কোথায় ২৫ লাখ ?কুম্ভ বিপর্যয়ে এখনো মিলনা আর্থিক সাহায্য
Nepal’s Prime Minister KP Sharma Oli has called an emergency meeting and the army has been deployed in the national capital
Those killed in the clashes were Suresh Rajak and a photojournalist who were recording a video of the protests from a building in the Tinakune area, which was set on fire by the protesters. His charred body was later found, pending formal identification
আরো পড়ুন : Robbery Case : ডাকাতির ঘটনায় ধৃত RG KAR-র নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা মহিলা CISF জাওয়ান
Protesters set fire to a shopping mall, a business complex, the headquarters of a political party and a media house, injuring more than a dozen police officers. The pro-monarchy Rastriya Prajatantra Party and other groups joined the protests
আরো পড়ুন : EPFO : এবার UPI ও ATM দিয়েও তোলা যাবে PF-র টাকা, জেনে নিন কত টাকা এবং কবে থেকে তোলা যাবে

এই ঘটনায় নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি একটি জরুরি সভা ডেকেছেন এবং জাতীয় রাজধানীতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তিনকুনে, সিনামঙ্গল এবং কোটেশ্বর এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। পুলিশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে বেশ কয়েকটি বাড়ি, অন্যান্য ভবন এবং যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন : London : লন্ডনে শিল্প বৈঠক থেকে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী ? জেনে নিন এক নজরে
এই সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছে সুরেশ রজক এবং একজন চিত্র সাংবাদিক যিনি তিনকুনে এলাকার একটি ভবন থেকে বিক্ষোভের ভিডিও রেকর্ড করছিলেন, যেখানে বিক্ষোভকারীরা আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তার পোড়া দেহ পাওয়া যায়, আনুষ্ঠানিকভাবে শনাক্তকরণ বাকি রয়েছে।
কী জানা যাচ্ছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে ?
নেপালের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের মতে, বিক্ষোভকারীরা যখন নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ে মারতে শুরুয়ায়াত করে, তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠে। জবাবে, নিরাপত্তা বাহিনী জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
আরো পড়ুন : Leopard : তিন দিনে খাঁচাবন্দি ২টি চিতাবাঘ, অবশেষে আতঙ্ক কাটল স্থানীয় বাসিন্দাদের
সংঘর্ষে বিক্ষোভকারীরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে যে সকল স্থানে
সংঘর্ষের সময় বিক্ষোভকারীরা আগুন ধরিয়ে দেয় একটি শপিং মল, ব্যবসায়িক কমপ্লেক্স, একটি রাজনৈতিক দলের সদর দপ্তর এবং একটি মিডিয়া হাউস ভবনে , যার ফলে এক ডজনেরও বেশি পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। রাজতন্ত্রপন্থী রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি এবং অন্যান্য গোষ্ঠী বিক্ষোভে যোগ দেয়।
আরো পড়ুন : Jalpaiguri : রাস্তার উপর বুনো হাতির তান্ডব,গাড়ির উপর আক্রমণ, প্রাণে বাঁচল দুই পর্যটক, নেপথ্যে পুলিশ বন্ধু
শুক্রবার নেপালে রাজতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবি জানিয়ে হাজার হাজার রাজতন্ত্রবাদী বিক্ষোভকারীরা নেপালের জাতীয় পতাকা ও প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহের ছবি হাতে নিয়ে তিনকুনে এলাকায় জড়ো হয়েছিলেন। তাঁদের স্লোগান ছিল “রাজা আউ, দেশ বাঁচাও” অর্থাৎ “দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার নিপাত যাক” এবং “আমরা রাজতন্ত্র ফিরে চাই”।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে নেপালে হিন্দু রাজতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পক্ষে একটি শক্তিশালী আন্দোলন তৈরি হয়েছে। এই রাজতন্ত্র-পন্থী মনোভাবের পিছনে একটি মূল কারণ হল ব্যাপক দুর্নীতি এবং অর্থনৈতিক পতনের উপর জনসাধারণের হতাশা।
সংসদীয় ঘোষণার মাধ্যমে নেপালে রাজতন্ত্রর সমাপ্তি
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে একটি সংসদীয় ঘোষণার মাধ্যমে নেপালে ২৪০ বছরের পুরনো রাজতন্ত্রর সমাপ্তি ঘটে, যা প্রাক্তন হিন্দু রাজ্যকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ, ফেডারেল, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে প্রতিষ্ঠিত হয়।

আরো পড়ুন :Shusant Singh : সুশান্ত সিং খুন নাকি আত্মহত্যা ? সাড়ে ৪ বছর পর কী জানাল সিবিআই ?