Raiganj : দলের বিধায়ক কৃষ্ণ মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান বকয়ট, পাল্টা চেয়ারপার্সন ও ভাইস চেয়ারপার্সনের সাংবাদিক বৈঠকে উঠল ঝড়….রইল বিস্তারিত
Raiganj
শান্তি রঞ্জন দাস : একদিকে রবিবার রাতে কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রী কার্নিভালে উপস্তিত অপরদিকে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ’র কার্নিভাল বকয়টের পাল্টা রায়গঞ্জ পৌরসভার চেয়ারপার্সন সন্দীপ বিশ্বাস ও ভাইস চেয়ারপার্সনের অরিন্দম সরকারের সাংবাদিক বৈঠক করে বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগ্রে দিলেন।

বিধায়কের আচরণে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে রায়গঞ্জ পৌরসভার,কী বললেন সন্দীপ বিশ্বাস ?
রায়গঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, “আমি বুঝতে পারছি না যে বয়কট কাকে বলে ? আমরা জানি বয়কট করে বিরোধী দল, আমরা দেখেছি ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে বয়কট করতে ভারতীয় স্বাধিনতা সংগ্রামীদের। “আজকে উনি ( কৃষ্ণ কল্যাণী) কোন দলের স্বাধিনতা সংগ্রামী উনি কোন দলের যে মা মাটি মানুষের সরকারের পশ্চিবঙ্গ সরকারের কার্নিভাল বয়কট করছেন একজন দলীয় বিধায়ক।
হঠাৎ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট করতে পারেন না, একজন রাজনীতিকের এমন আচরণ করা উচিত নয়। এটি অগ্রহণযোগ্য। আমি দলকে পোস্টটি সম্পর্কে জানিয়েছি।”
প্রতিক্রিয়া ভাইস চেয়ারপার্সন অরিন্দম সরকারের :
বিধায়কের কার্নিভাল বয়কটের পর রায়গঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের ভাইস চেয়ারপার্সন অরিন্দম সরকার বলেন, আজ দলের ঝান্ডা আছে বলেই আমাদের বিধায়ক এতো উদ্ধত দেখাতে পারছে। আজকেই যদি দলের ঝান্ডাটা সরে যায় তাহলে উনি এই উদ্ধতপানা দেখাতে পারবেন না। কারন মুখ্যমন্ত্রীর কার্নিভাল অনুষ্ঠান বয়কট করে যে ক্ষমতা দেখান দলীয় প্রতীক সরিয়ে সেই ক্ষমতা দেখাক।
তিনি আরো বলেন, আমরা উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েছি। আজকে যে আমরা প্রেস কনফারেন্স করছি আমাদের নেতা জেলার সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের পরামর্শ দিয়েছেন সেই পরামর্শেই আমরা প্রেস কনফারেন্স করছি। আমরা দলের বাইরে কনো কাজ করিনি। আমরা দলকে ভালোবাসি আমরা শুরু থেকে দলকে ভালোবাসি। আমরা এই দল…..সেই দল করিনি। কখনো আমার ভালো হলে মর্জি হলে এই দল খারাপ হলে অন্য দল সেই কাজ আমরা করিনি। এক কথায় মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান বয়কট করার পরেই এই ক্ষোভ রায়গঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের।
কার্নিভাল বয়কট নিয়ে তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতির প্রতিক্রিয়া :
তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইয়াল আগরওয়ালা বলেন, দল জানার চেষ্টা করছে কেন বিধায়ক এই অনুষ্ঠান থেকে দূরে ছিলেন।
জেলা সভাপতি আরো বলেন “আমি বিশ্বাস করি প্রকাশ্যে এই ধরনের বক্তব্য দেওয়া ঠিক নয়। যদি কোনও সমস্যা থাকত, তাহলে তিনি আমাদের কাছে তা উল্লেখ করতে পারতেন, এবং আমরা অভ্যন্তরীণভাবে তা সমাধান করতে পারতাম”।
নাগরিক অবহেলার অভিযোগে পূজা কার্নিভালে যোগ দিননি তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী।
কেনো তৃণমূল দলের বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান কার্নিভাল বয়কট করলেন ?
রায়গঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক কৃষ্ণা কল্যাণী শনিবার সন্ধ্যায় শহরের দুর্গা পূজা কার্নিভালে অংশ নেননি, কারণ তিনি নাগরিক পরিবেশের দুর্বলতা এবং প্রশাসনিক অবহেলার কথা উল্লেখ করেছিলেন।
দিনের শুরুতে (শনিবার) একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে ঘোষণা করা তার সিদ্ধান্ত তার এবং তৃণমূল-শাসিত রায়গঞ্জ পৌরসভার মধ্যে অভ্যন্তরীণ উত্তেজনা প্রকাশ পায়।
বিধায়ক তার পোস্টে লিখেন উৎসবের সময় মৌলিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং অবকাঠামো বজায় রাখতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য রায়গঞ্জ পৌরসভা এবং স্থানীয় প্রশাসনের সমালোচনা করেছেন।
আরো পড়ুন : Nagrakata : চিতা বাঘের পর এবার চতুর্থীর রাতে দাঁতাল হাতির হামলা, মৃত্যু এক যুবকের
বয়কটের কারন গুলি কী কী ?
বিধায়ক অনুষ্ঠান বয়কটের কারণ হিসেবে তিনি শহরজুড়ে জলাবদ্ধতা, অপরিষ্কার আবর্জনা এবং ভাঙা রাস্তার মতো সমস্যার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, রাজ্য সরকারের নাগরিক এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন।
কল্যাণী পোস্টে লিখেছেন, “এমন পরিস্থিতিতে, শহরের উন্নয়ন এবং বাসিন্দাদের নিরাপত্তা উপেক্ষা করে উৎসব কার্নিভালে অংশ নেওয়া অনুচিত। তাই, রায়গঞ্জের বিধায়ক হিসেবে, আমি এই বছরের পূজা কার্নিভাল থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করছি”।
অন্যদিকে, গেরুয়া শিবির তৃণমূলকে উপহাস :
“যখন সাধারণ মানুষ নাগরিক পরিষেবার অভাবের কারণে কষ্ট পাচ্ছে, তখন তারা একে অপরকে দোষারোপ করছে। এটি তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের একটি স্পষ্ট উদাহরণ,” বলেন জেলা বিজেপি সভাপতি নিমাই কবিরাজ।
