ভারত-বাংলাদেশ সিমান্তে গো-মাংস পাচারের অবাধ ছাড়পত্র ! অভিযুক্ত মোদীর মন্ত্রীসভার এই মন্ত্রী

এসকে মোতাহার হোসেন : ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জিতিক সীমান্তে পাহারার দায়িত্বে থাকা বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের কর্তাদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে বিজেপির সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের নিজের লেটারহেডে প্যাড। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সেই চিঠি অবৈধ ‘পাচারের বৈধ স্বীকৃতি’ হিসেবে ব্যবহার করছে এক শ্রেণির কারবারি।

জানা গিয়েছে, সীমান্তবর্তী এলকায় অবাধে বিভিন্ন দ্রব্যের ব্যবসা চালাতে বহু ব্যক্তিকে নিজের লেটারহেডে লিখিত অনুমোদন দিচ্ছেন মোদি মন্ত্রিসভার বাংলার এই বিজেপি সাংসদ।

চলতি মাসের গত ২ জুলাই নিজের লেটারহেডে হাকিমপুরের ৯৬ নম্বর বুথের বাসিন্দা জিয়ারুল গাজি নামে এক ব্যক্তিকে সীমান্ত এলকায় ৩ কেজি করে গো-মাংসের কারবার চালানোর জন্য তাঁকে ছাড়পত্র সুপারিশ করছেন মোদির মন্ত্রী সভার কেন্দ্রীয় জাহাজ ও বন্দর রাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।

বিএসএফের ৮৫ নম্বর ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাকে এই চিঠি দিয়েছেন। যার জেরে পাচারের ভূস্বর্গ পরিণত হয়েছে স্বরূপনগর, হাকিমপুর ঘইরাডাঙ্গা, কিটিন্ডা, পেট্রাপোল। তিনি সরাসরি এভাবে গো-মাংসের কারবারকে উৎসাহিত করায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ আরএসএস।

এই বিষয়ে তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন, সীমান্ত এলকায় বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সহায়তায় রমরমিয়ে চলছে বেআইনি ব্যবসা। এই ধরনের অবৈধ কারবার চালানোর জন্য প্রথমে নিলাম ডাকা হয়।

বিরাট অঙ্কের টাকার বিনিময়ে কিছু মাতব্বর সেই বরাত পেয়ে যান। তারপর চড়া দামে বিক্রি করা হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সেই লিখিত পারমিট। তা দেখিয়েই বিনা বাধায় চলে চোরাচালান।

Leave a Comment